যুগের সাথে প্রেমের পরিবর্তন
,
প্রাচীন প্রেম।
সেই সময়ে মানুষ প্রেম করতো কবুতরের মাধ্যমে চিঠি আদান প্রদান করে। দাদু নানুর মুখে শুনেছি, তাদের সময়ে নাকি পচা ডোবা বা পুকুরের তলায় পা দিয়ে নাড়া দিলে বাতাস বের হতো। সেই বাতাস তারা কলসে ভরে, সেখান থেকে বেলুনে বাতাস ভরে তারপর চিঠি বেধে আকাশে উড়িয়ে দিতো। তারপর যেখানে গিয়ে পড়তো সেখান থেকেই প্রেম বা বন্ধুত্তের সূচনা হতো। আবার নদীতে গোসলের সময় কলসিতে চিঠি ভরে স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে প্রেম চলতো এপার ওপারের বালক বালিকার।
,
মধ্যযুগীয় প্রেম।
তখনকার দিনে সবাই প্রেম করতো চিঠি দিয়ে। কাউকে প্রেমের পস্তাব দিতে গেলে, কতো বন্ধুদের হাতে পায়ে ধরা লাগতো। যদি নাকি নিজের হাতের লেখা ভালো না হতো। তারপর যখন চিঠি লেখা হয়ে যেতো তখন দরকার পরতো পিওন এর। এখন পিওন কে হবে?.. এটার জন্য ও অনেক বন্ধুর হাতে পায়ে ধরা,তারপর যাকে প্রেমের প্রস্তাব দিবে তার কোন বান্ধুবি যদি পরিচিত থাকে তাকে, বাদাম, চকলেট, রেশমি চুড়ি, আরো কতো কিছু দিয়া হাত করতে হতো এর কোন হিসেব নেই। তারপর দেখুন, যদি বান্ধুবিকে দিয়া কাজ না হয় তাহলে, এমন একটা বাচ্চা খুজে বেড় করতে হতো যে নাকি সব বুঝে। তারপর খুজে পাওয়া গেলে প্রথমে ওই বাচ্চাকে এটা ওটা, খাওয়ানো ২ টাকা হাতে দেয়া,,এমন আরো অনেক কিছু দিয়ে বাচ্চাটাকে হাত করা। তারপর, বাচ্চাটার হাতে চিঠি ভরা খাম টা দিয়ে নানান ভাবে বুঝিয়ে, বলা হতো, চিঠিটা ওই মেয়ের হাতে দিবি কেউ জেনো না দেখে ঠিক আছে? "তুই চিঠি দিয়ে আয় আমি তোকে বাজারে নিয়া মিষ্টি খাওয়াবো",,তারপর যখন মেয়েটা চিঠি পেতো তখন আবার সেই বাচ্চাকে লাগতো,, কারন চিঠির উত্তর তো দিতে হবে। বাচ্চাটাকে পাওয়ার পর চিঠির উত্তর দেয়া,, তারপর যখন প্রেম হয়ে যেতো তখন লুকিয়ে লুকিয়ে বাদাম কিনে দেয়া মাঝে মাজে মেলায় নিয়ে রেশমি চুড়ি কিনে দেয়া, এটা ছিলো আমার দেখা আগের দিনের প্রেম,,,
,
আধুনিক প্রেম (মোবাইল)
তারপর আসলো মোবাইেল প্রেম,,কোন রঙ্ নাম্বারে পরিচয়। কথা বলতে বলতে দুজন দুজনকে ভালবেসে ফেলা। তারপর কনো একটা পার্কে দেখা করা,,দেখা করার আগের কথা গুলো এমন,,আচ্ছা তুমি কাল কি কালার ড্রেস পরে আসবা? তারপর মেয়ে বলতো আমি এরকম একটা কালারের ড্রেস পরে আসবো,,তুমিও এই কালারের শার্ট পরে আসবা,,,, এমন করে রঙ্ নাম্বারে প্রেম হতো,,,,
তারপর আবার এলাকার, যদি কনো মেয়েকে কনো ছেলের ভালো লাগতো তাহলে এলাকার কিছু ছেলে সেই মেয়ের পিছনে লাগিয়ে দেয়া হতো, ওই মেয়ে কি করে না করে কোন দোকান থেকে মোবাইলে টাকা ভরে, এগুলা জানার জন্য তারপর কোন ভাবে নাম্বার পেলেই শুরু হতো ফোন আলাপ,, সিম কোম্পানি গুলা সিমে কতো রকম অফার দিয়া রাখে যার কোন হিসাব নাই,২৫ পয়সা প্রতি মিনিট, আবার এফএনএফ তো আছেই,,কথা বলতে বলতে ,আস্তে আস্তে ফ্রেন্ডশিপ তারপর প্রপোজ,, এর মাঝে অনেক কিছু হয় যেমন ওই মেয়ের বাড়ির সামনে বন্ধুদের নিয়া সময় কাটানো, মেয়ের যদি কোন ছোট ভাই বা বোন থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই,,কি কি করতো না করতো বুজতেই পারছেন,, , এটা ছিলো মোবাইল যুগের আধুনিক প্রেম,,,
,
ডিজিটাল প্রেম (ফেসবুক)
,এখন আসুন ফেসবুক প্রেম নিয়া,,
ফেবুতে সুন্দরি কোন মেয়ের বা কিউট ছেলের আইডি পেলে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট তারপর মেসেজিং। আস্তে আস্তে ফ্রেন্ডশিপ তারপর ছেলে মেয়ের যে কোন পোস্টে লাইক কমেন্ট শেয়ারিং, মেসেজিং এ কেয়ারিং,আরো কতো কি,, তারপর পিক আদান পদান, তারপর মোবাইল নাম্বার আদান প্রদান করা,,আর মেসেজিং এ মেয়ে ছেলেকে জান,বাবু, সোনা,,ময়না,আরো কতো নামে ডাকে, আর ছেলে মেয়েকে,,,জানু মানু, ময়নাপাখি, টিয়াপাখি,কলিজা গুরদা আরো কতো কি নাম। যেই নামের শেষ নেই,,,
,
আগামীতে প্রেম যে কি ভাবে হবে সেটা এক আল্লাহই জানেন,
।।
, হে আল্লাহ তুমি আমাদের এই জানু,মানু, ময়না, টিয়া, অমুকের বাপ, হেতের মা, বিভিন্ন কালারিং পরী, বিচিত্র গাছ গাছড়ার পেত্নী, শাকচুন্নি, জান্টুস, ফান্টুস, জিএম ছুন্দ্রী, ফেরেন লাভলী ছুন্দ্রী, ময়দা ছুন্দ্রী, বিভিন্ন জংগলের পাখি, এঞ্জেল ফেঞ্জেল এসব থেকে রক্ষা করো 😜
, লাস্ট ২ টা লাইন ফান করে লিখলাম,,
,
লিখা:অস্কার প্রাপ্ত খারাপ ছেলে,,
(অস্কার প্রাপ্ত খারাপ ছেলে)
,
প্রাচীন প্রেম।
সেই সময়ে মানুষ প্রেম করতো কবুতরের মাধ্যমে চিঠি আদান প্রদান করে। দাদু নানুর মুখে শুনেছি, তাদের সময়ে নাকি পচা ডোবা বা পুকুরের তলায় পা দিয়ে নাড়া দিলে বাতাস বের হতো। সেই বাতাস তারা কলসে ভরে, সেখান থেকে বেলুনে বাতাস ভরে তারপর চিঠি বেধে আকাশে উড়িয়ে দিতো। তারপর যেখানে গিয়ে পড়তো সেখান থেকেই প্রেম বা বন্ধুত্তের সূচনা হতো। আবার নদীতে গোসলের সময় কলসিতে চিঠি ভরে স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে প্রেম চলতো এপার ওপারের বালক বালিকার।
,
মধ্যযুগীয় প্রেম।
তখনকার দিনে সবাই প্রেম করতো চিঠি দিয়ে। কাউকে প্রেমের পস্তাব দিতে গেলে, কতো বন্ধুদের হাতে পায়ে ধরা লাগতো। যদি নাকি নিজের হাতের লেখা ভালো না হতো। তারপর যখন চিঠি লেখা হয়ে যেতো তখন দরকার পরতো পিওন এর। এখন পিওন কে হবে?.. এটার জন্য ও অনেক বন্ধুর হাতে পায়ে ধরা,তারপর যাকে প্রেমের প্রস্তাব দিবে তার কোন বান্ধুবি যদি পরিচিত থাকে তাকে, বাদাম, চকলেট, রেশমি চুড়ি, আরো কতো কিছু দিয়া হাত করতে হতো এর কোন হিসেব নেই। তারপর দেখুন, যদি বান্ধুবিকে দিয়া কাজ না হয় তাহলে, এমন একটা বাচ্চা খুজে বেড় করতে হতো যে নাকি সব বুঝে। তারপর খুজে পাওয়া গেলে প্রথমে ওই বাচ্চাকে এটা ওটা, খাওয়ানো ২ টাকা হাতে দেয়া,,এমন আরো অনেক কিছু দিয়ে বাচ্চাটাকে হাত করা। তারপর, বাচ্চাটার হাতে চিঠি ভরা খাম টা দিয়ে নানান ভাবে বুঝিয়ে, বলা হতো, চিঠিটা ওই মেয়ের হাতে দিবি কেউ জেনো না দেখে ঠিক আছে? "তুই চিঠি দিয়ে আয় আমি তোকে বাজারে নিয়া মিষ্টি খাওয়াবো",,তারপর যখন মেয়েটা চিঠি পেতো তখন আবার সেই বাচ্চাকে লাগতো,, কারন চিঠির উত্তর তো দিতে হবে। বাচ্চাটাকে পাওয়ার পর চিঠির উত্তর দেয়া,, তারপর যখন প্রেম হয়ে যেতো তখন লুকিয়ে লুকিয়ে বাদাম কিনে দেয়া মাঝে মাজে মেলায় নিয়ে রেশমি চুড়ি কিনে দেয়া, এটা ছিলো আমার দেখা আগের দিনের প্রেম,,,
,
আধুনিক প্রেম (মোবাইল)
তারপর আসলো মোবাইেল প্রেম,,কোন রঙ্ নাম্বারে পরিচয়। কথা বলতে বলতে দুজন দুজনকে ভালবেসে ফেলা। তারপর কনো একটা পার্কে দেখা করা,,দেখা করার আগের কথা গুলো এমন,,আচ্ছা তুমি কাল কি কালার ড্রেস পরে আসবা? তারপর মেয়ে বলতো আমি এরকম একটা কালারের ড্রেস পরে আসবো,,তুমিও এই কালারের শার্ট পরে আসবা,,,, এমন করে রঙ্ নাম্বারে প্রেম হতো,,,,
তারপর আবার এলাকার, যদি কনো মেয়েকে কনো ছেলের ভালো লাগতো তাহলে এলাকার কিছু ছেলে সেই মেয়ের পিছনে লাগিয়ে দেয়া হতো, ওই মেয়ে কি করে না করে কোন দোকান থেকে মোবাইলে টাকা ভরে, এগুলা জানার জন্য তারপর কোন ভাবে নাম্বার পেলেই শুরু হতো ফোন আলাপ,, সিম কোম্পানি গুলা সিমে কতো রকম অফার দিয়া রাখে যার কোন হিসাব নাই,২৫ পয়সা প্রতি মিনিট, আবার এফএনএফ তো আছেই,,কথা বলতে বলতে ,আস্তে আস্তে ফ্রেন্ডশিপ তারপর প্রপোজ,, এর মাঝে অনেক কিছু হয় যেমন ওই মেয়ের বাড়ির সামনে বন্ধুদের নিয়া সময় কাটানো, মেয়ের যদি কোন ছোট ভাই বা বোন থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই,,কি কি করতো না করতো বুজতেই পারছেন,, , এটা ছিলো মোবাইল যুগের আধুনিক প্রেম,,,
,
ডিজিটাল প্রেম (ফেসবুক)
,এখন আসুন ফেসবুক প্রেম নিয়া,,
ফেবুতে সুন্দরি কোন মেয়ের বা কিউট ছেলের আইডি পেলে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট তারপর মেসেজিং। আস্তে আস্তে ফ্রেন্ডশিপ তারপর ছেলে মেয়ের যে কোন পোস্টে লাইক কমেন্ট শেয়ারিং, মেসেজিং এ কেয়ারিং,আরো কতো কি,, তারপর পিক আদান পদান, তারপর মোবাইল নাম্বার আদান প্রদান করা,,আর মেসেজিং এ মেয়ে ছেলেকে জান,বাবু, সোনা,,ময়না,আরো কতো নামে ডাকে, আর ছেলে মেয়েকে,,,জানু মানু, ময়নাপাখি, টিয়াপাখি,কলিজা গুরদা আরো কতো কি নাম। যেই নামের শেষ নেই,,,
,
আগামীতে প্রেম যে কি ভাবে হবে সেটা এক আল্লাহই জানেন,
।।
, হে আল্লাহ তুমি আমাদের এই জানু,মানু, ময়না, টিয়া, অমুকের বাপ, হেতের মা, বিভিন্ন কালারিং পরী, বিচিত্র গাছ গাছড়ার পেত্নী, শাকচুন্নি, জান্টুস, ফান্টুস, জিএম ছুন্দ্রী, ফেরেন লাভলী ছুন্দ্রী, ময়দা ছুন্দ্রী, বিভিন্ন জংগলের পাখি, এঞ্জেল ফেঞ্জেল এসব থেকে রক্ষা করো 😜
, লাস্ট ২ টা লাইন ফান করে লিখলাম,,
,
লিখা:অস্কার প্রাপ্ত খারাপ ছেলে,,
(অস্কার প্রাপ্ত খারাপ ছেলে)
http://tipsking21.blogspot.com/
উত্তরমুছুনami rafsan
উত্তরমুছুন